বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, পাচার ঘটনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো মামলা হয় না। অনেক সময় দেখি ভুক্তভোগী ও তার পরিবার বিষয়টি আপস করে ফেলে। আবার পাচারের ঘটনায় যে মামলাগুলো করা হয় তা অনেক দিন তদন্তের জন্য আটকে থাকে। এ কারণে এ-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোও একেবারে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে গতি আনতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এই আইনজীবী বলেন, পাচারের ক্ষেত্রে চাহিদা খুব বেশি। আবার পাচারকারীরাও অর্গানাইজড ক্রিমিনাল। দেখা যায়, ভারতে যে নারী ও শিশুদের পাচার করা হয় সেখানে সেক্স ট্রাফিকিং বেশি হয়। আবার অর্গান ট্রাফিকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে কিডনির জন্যও অনেক পাচারের ঘটনা ঘটছে।
সালমা আলী বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে একসময় আমরা ক্যামেল জকির জন্য যে শিশু পাচার হতো তা বন্ধ করতে পেরেছিলাম। শক্তিশালী আইন প্রণয়নের কারণে এখন মধ্যপ্রাচ্যে আর উটের জকির জন্য শিশুদের পাচার করা হয় না। তিনি বলেন, পাচার রোধে আমাদের দেশে খুব শক্ত একটি আইন তৈরি করেছি। এজন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও হয়েছে। পাচার প্রতিরোধে কাজ করতে হলে এজন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বড় একটি ল্যান্ড বর্ডার আছে। এ ছাড়া নদী ও আকাশ পথেও অনেক সময় সবার চোখের সামনে দিয়ে পাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে।